আমাদের সাইটের নতুন আপডেট পেতে এ্যাপ্স ইন্সটল করে রাখুন Install Now!

২য় শ্রেণি ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষক সহায়িকা পিডিএফ - Class 2 Teachers TG Guide 2024 Pdf

২য় শ্রেণি ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষক সহায়িকা পিডিএফ, Class 2 Teachers TG Guide 2024 Pdf
Join Telegram for New Books

২য় শ্রেণি ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষক সহায়িকা

২য় শ্রেণি ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষক সহায়িকা পিডিএফ - Class 2 Teachers TG Guide 2024 Pdf

২য় শ্রেণি ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষক সহায়িকা পিডিএফ - Class Two Teachers TG Guide 2024 Pdf

শিক্ষকের জন্য নির্দেশনা

প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর পড়া ও লেখার দক্ষতা অর্জনের জন্য শোনা ও বলার দক্ষতা অর্জন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আর শোনা ও বলার মাধ্যম হিসেবে ধ্বনিচর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধ্বনিচর্চার পাশাপাশি বাংলা ভাষার জন্য নির্ধারিত ধ্বনির প্রতীক সংশ্লিষ্ট বর্ণ চিনতে পারা প্রয়োজন। তাই পড়া ও লেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ধ্বনি সচেতনতা ও বর্ণ শনাক্ত করার সক্ষমতা অর্জন করতে হয়।

এবারের তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের সময় শিক্ষার্থীর ভাষা শিখন প্রক্রিয়াকে তাদের জীবন- ঘনিষ্ঠ করার জন্য ভাষাসমগ্র পদ্ধতিকে ভাষা শিখনের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে বর্ণ, শব্দ ও বাক্যসমূহ শিখনের ক্ষেত্রে একটি অর্থপূর্ণ ভাষিক পরিমণ্ডল বিবেচনা করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে যেমন নতুন উপস্থাপন রীতি অনুসরণ করা হয়েছে তেমনি শিক্ষক সহায়িকাতে শিখন-শেখানো পদ্ধতিতে যথোপযুক্ত কৌশল ও কার্যাবলি সংযোজন করা হয়েছে।

শিক্ষক সহায়িকাতে প্রতিটি পাঠের সঙ্গে শ্রেণিভিত্তিক অর্জন উপযোগী যোগ্যতা, পারদর্শিতার নির্দেশক ও নির্ধারিত শিখন-শেখানো কার্যাবলিসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের তালিকা, পাঠের আলোচ্য বিষয় ইত্যাদি দেওয়া হয়েছে। তবে সবার আগে শিক্ষক প্রত্যেক পাঠের পারদর্শিতার নির্দেশক দেখবেন। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় উপকরণের তালিকাটিও দেখবেন। তাহলে শিক্ষক সহায়িকা শিক্ষকের সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। শিক্ষক সহায়িকায় সংযোজিত উল্লেখযোগ্য শিখন-শেখানো কৌশল ও কার্যাবলি সম্পর্কে নিচে আলোকপাত করা হলো।

প্রাসঙ্গিক আলোচনা

প্রতিদিন শিখন-শেখানো কার্যাবলির শুরুতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও পাঠদানের পরিবেশ সৃষ্টি করবেন। পাঠদানের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়। একইসঙ্গে নির্দিষ্ট পাঠের প্রতি শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হয়ে ওঠে ও মনোযোগী হয়। প্রতিদিনের পাঠ শুরুর আগে শিক্ষক পাঠের সঙ্গে মিল রেখে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করবেন। প্রাসঙ্গিক আলোচনা নানাভাবে করা যেতে পারে। যেমন শিক্ষক পাঠ/বিষয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের জীবনঘনিষ্ঠ বাস্তব অভিজ্ঞতা, সংশ্লিষ্ট বাস্তব উপকরণ, ছবি বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে করতে পারেন। তিনি প্রাসঙ্গিক আলোচনা মৌখিকভাবে করতে পারেন। তবে এতে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় ও অধিক অংশগ্রহণের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

ছবি বিশ্লেষণ: কোনো পাঠ বা বিষয় বোঝার ক্ষেত্রে ছবি বিশ্লেষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছবি বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কী বিষয়ে পড়তে যাচ্ছে তা অনুমান করতে পারে। পাঠের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ জাগিয়ে তোলে। শিক্ষার্থীরা ছবির মাধ্যমে সহজেই যেকোনো বিষয় বুঝতে পারে। এতে করে পাঠটি পড়ার সময় সহজ মনে হয়। তাছাড়া ছবি বিশ্লেষণ ভাষাদক্ষতা উন্নয়নের জন্য এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনার একটি অন্যতম অংশ। পাঠের ছবি বিশ্লেষণের সময় যা মনে রাখতে হবে:

  • শিক্ষক বড়ো করে আঁকা পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি দেখাবেন বা আমার বাংলা বইয়ের নির্ধারিত পৃষ্ঠা খুলবেন এবং শিক্ষার্থীদের খুলতে বলবেন। শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো খুলতে পারল কি না তা দেখবেন।
  • শিক্ষক প্রথমে ছবি/ছবিগুলো দেখতে বলবেন।
  • এরপর একটি একটি ছবি দেখিয়ে জানতে চাইবেন, ছবিতে কী দেখা যাচ্ছে? কে কী করছেন? ছবিতে আর কী দেখা যায়? এভাবে প্রশ্নোত্তর পদ্ধতিতে আলোচনা করার মাধ্যমে ছবির পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখা ও বিশ্লেষণ নিশ্চিত করবেন।
  • শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করছে কি না এবং আনন্দলাভ করছে কি না তা শিক্ষক পর্যবেক্ষণ করবেন ও তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবেন।

পূর্ববর্তী পিরিয়ডের পর্যালোচনা:

শিক্ষক পূর্ববর্তী পিরিয়ড/পাঠের পর্যালোচনা ও যাচাই করবেন। যেমন: শিক্ষক পূর্ববর্তী পিরিয়ডে/পাঠে করানো কিছু শিখন-শেখানো কাজ শিক্ষার্থীদের করতে দেবেন। তবে এই কাজগুলো খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হওয়া উচিত। যাতে পূর্ববর্তী পিরিয়ডে/পাঠের সঙ্গে চলমান পাঠের সংযোগ ঘটে। এ ধরনের সংক্ষিপ্ত সংযোগমূলক পূর্ববর্তী পিরিয়ড/পাঠ পর্যালোচনা ও যাচাই এর কাজ শিখন-শেখানো কার্যাবলির প্রথম দিকে করাবেন। পূর্ববর্তী পিরিয়ড/পাঠ পর্যালোচনা ও যাচাই এর সংক্ষিপ্ত সংযোগমূলক কাজের মাধ্যমে যেন ধারাবাহিক পিরিয়ড/পাঠ পরিচালনা করা হয় সেদিকে শিক্ষককে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।

গদ্য/গল্পের পাঠ পরিচালনা

সংক্ষেপে প্রাসঙ্গিক আলোচনা, ছবি বিশ্লেষণ, বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষক গদ্যধর্মী পাঠের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করবেন। শিক্ষক নিজে শুদ্ধ, স্পষ্ট ও প্রমিত উচ্চারণে পড়বেন। শিক্ষার্থীরা মনোযোগ সহকারে শুনবে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দিয়ে পড়াবেন ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন। পড়াশেষে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট অনুশীলন করাবেন। শিক্ষার্থীদের পড়ার দক্ষতা বিকাশের জন্য নির্ধারিত কোনো পাঠ পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষক সাধারণভাবে নিচে উল্লিখিত তিনটি ধাপ অনুসরণ করবেন:

পড়ার আগে

  • শিক্ষার্থীদের পূর্বজ্ঞান যাচাই করবেন।
  • শিক্ষক গল্পের সঙ্গে মিল রেখে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করবেন।
  • শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পাঠের ছবি বিশ্লেষণ করাবেন।
  • পাঠের শিরোনাম বোর্ডে লিখবেন।

পড়ার সময়

  • শিক্ষক শুদ্ধ, স্পষ্ট ও প্রমিত উচ্চারণে স্বরভঙ্গির ওঠানামা বজায় রেখে সম্পূর্ণ গল্প বা পাঠের অংশটুকু সরবে পড়বেন। শিক্ষার্থীরা মনোযোগ সহকারে শুনবে ও শব্দে শব্দে আঙুল নির্দেশ করে সরবে/নীরবে পড়বে।
  • পাঠের বিষয়বস্তু বোঝার জন্য আবার পাঠ্যাংশটুকু পড়বেন। পড়ার ফাঁকে ফাঁকে যেখানে প্রয়োজন সহজ বর্ণনা বা ব্যাখ্যা করবেন। শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করার মাধ্যমে তাদের পাঠের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করে পড়া চালিয়ে যেতে হবে। যেমন পাঠের সঙ্গে মিল রেখে পাঠের সূত্র ধরে প্রয়োজনে প্রশ্ন করতে পারেন- এরপর কী হবে? এ অবস্থায় তুমি হলে কী করতে? পাঠ্যাংশে প্রতিটি ধাপে যাচাই করে করে সামনে এগিয়ে যেতে ও শিক্ষার্থীকে পাঠের সঙ্গে মিল রেখে উচ্চমানের চিন্তা করার উপযোগী প্রশ্ন (বিশ্লেষণাত্মক, সংশ্লেষণাত্মক ও প্রায়োগিক প্রশ্ন) করা যেতে পারে। যেমন- কেন এটা/ এসব হলো? বা কীভাবে হলো?
  • তারপর শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের সঙ্গে সমস্বরে পড়বে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঐ দিনের পাঠের জন্য গল্পের নির্ধারিত অংশটুকু কয়েকবার (৪/৫ বার) পড়বেন। এ সময় শিক্ষক খেয়াল রাখবেন, শিক্ষার্থীরা শব্দের নিচে আঙুল নির্দেশ করে সঠিক উচ্চারণে পড়ছে কিনা।
  • শিক্ষক অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া ২/৩ জন শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে আবার পড়বেন, অন্যরা শুনবে ও বইয়ে আঙুল নির্দেশপূর্বক পড়া মেলাবে।
  • এরপর শিক্ষক পারগ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ২/৩ জনকে দিয়ে পড়াবেন, অন্যরা তা শুনবে এবং বইয়ে আঙুল নির্দেশপূর্বক পড়া মেলাবে।
  • এবার শিক্ষক সবাইকে নিয়ে গল্পটি আবার পড়বেন।
  • এরপর শিক্ষক দল গঠন করে পারগ শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় দলগতভাবে শিক্ষার্থীরা বই খুলে শব্দের নিচে আঙুল নির্দেশ করে কয়েকবার সরবে পড়বে।
  • শ্রবণযোগ্য স্বরে ও প্রমিত উচ্চারণে এককভাবে পাঠের অংশবিশেষ পর্যায়ক্রমে সবাইকে পড়তে বলবেন। অন্য শিক্ষার্থীরা মনোযোগ সহকারে শুনবে ও শব্দে আঙুল দিয়ে নির্দেশ করে পড়া অনুসরণ করবে।

পড়ার পরে

  • শিক্ষক সংশ্লিষ্ট ভাষিক কাজের অনুশীলন করাবেন। সবশেষে আজকের পাঠের সার-সংক্ষেপ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবেন।

ছড়া/কবিতা শিখন-শেখানো

ছড়া/কবিতা শিখন-শেখানোর ক্ষেত্রে শিক্ষক শুদ্ধ, স্পষ্ট ও প্রমিত উচ্চারণে ছন্দ তাল ঠিক রেখে শিক্ষার্থীদের ছড়া/ কবিতা শোনাবেন। শিক্ষার্থীরা মনোযোগ সহকারে শুনবে ও বলবে। শিক্ষার্থীরা অঙ্গভঙ্গি সহকারে আনন্দের সঙ্গে ছড়া/কবিতা বলবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিক্ষক কবিতা পড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ করাবেন। শিক্ষক কবিতা পড়ে শোনাবেন ও শিক্ষার্থীদের দিয়ে পড়াবেন।

অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে কবিতা পঠন সুনির্দিষ্টভাবে পাঁচটি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। নিচে পাঁচটি ধাপ দেওয়া হলো:

  • ধাপ ১: শিক্ষক যতি ও ছন্দ বজায় রেখে প্রমিত উচ্চারণে কবিতাটি একবার (প্রয়োজনে একাধিকবার) প্রত্যেকটি শব্দ নির্দেশ করে পড়বেন। শিক্ষার্থীরা মনোযোগ সহকারে শুনবে।
  • ধাপ ২: শিক্ষক প্রত্যেকটি শব্দ আঙুল নির্দেশ করে পড়বেন। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও সরবে পড়বে। এই ধাপে শিক্ষক প্রয়োজনে ২/৩ বার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে এভাবে পড়বেন। এ সময় তিনি লক্ষ রাখবেন, সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে কিনা। কোনো শব্দ বা বাক্যের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সঙ্গে সঙ্গে পড়তে না পারলে শিক্ষক ঐ শব্দ বা বাক্যটি আবার পড়বেন।
  • ধাপ ৩: শিক্ষক নির্দিষ্ট একজন শিক্ষার্থীকে তার সঙ্গে নিয়ে পড়বেন। শিক্ষক এই ধাপে বেশি করে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পড়বেন। এভাবে এক এক করে ২/৩ জন শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে পড়বেন।
  • ধাপ ৪: উৎসাহী শিক্ষার্থীকে দিয়ে একা পড়াবেন। কিন্তু কেউ একা পড়তে উৎসাহী না হলে জোর করার দরকার নেই। এক্ষেত্রে শিক্ষক একজন শিক্ষার্থীকে দিয়ে পুরো কবিতাটি পড়াবেন। এভাবে কয়েকজনকে দিয়ে এককভাবে পড়াবেন।
  • ধাপ ৫: একজন শিক্ষার্থীকে পড়তে বলবেন। তার সঙ্গে সব শিক্ষার্থীদেরকে সরবে পড়তে বলবেন।

শিখন মূল্যায়ন নীতিমালা

শিখন-শেখানো কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অবস্থা ও শিখন-শেখানো কৌশলের কার্যকারিতা নিরূপণের জন্য নিয়মিত শিখন মূল্যায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এক্ষেত্রে যে নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে তা হলো, চলমান বা ধারাবাহিক মূল্যায়নকে আলাদাভাবে বিবেচনা না করে শিখন-শেখানো কৌশলের অবিছেদ্য অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে সংযোজন করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে এমন শিখন-শেখানো কৌশল ও কার্যাবলি এই শিক্ষক সহায়িকায় পরিকল্পিতভাবে সংযোজনের চেষ্টা করা হয়েছে। শিখন-শেখানো কৌশল ও কার্যাবলি প্রণয়নে শিখন মূল্যায়নকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও অনেক সম্পূরক ও নতুন শিখন-শেখানো কৌশল কার্যাবলিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুতরাং কার্যকর পাঠ পরিচালনার জন্য শুধু পাঠ্যপুস্তক ও এতে প্রদত্ত সংক্ষিপ্ত নির্দেশনা অনুসরণ শিক্ষকের জন্য যথেষ্ট নয়। শিক্ষক নিয়মিত শিক্ষক সহায়িকা অনুসরণে ও নিজের অভিজ্ঞতার নিরিখে পরবর্তী পিরিয়ডের/ পাঠের প্রস্তুতি নেবেন।

বাংলা বিষয়ের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক শিক্ষার্থীকে ক্রমাগত মূল্যায়নের মাধ্যমে বাংলা ভাষার চারটি দক্ষতায় (শোনা, বলা, পড়া এবং লেখা) শিক্ষাক্রমে বর্ণিত যোগ্যতাসমূহ অর্জনে সহায়তা করবেন। দক্ষতাগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের শুনতে ও বলতে দিয়ে, কোনো বিষয় বর্ণনা করতে দিয়ে, প্রশ্ন করতে দিয়ে, পড়তে ও লিখতে দিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নের কাজ সম্পাদন করবেন। এক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষার্থীকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও তদানুযায়ী নিরাময়মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সাধারণ নির্দেশনা

  • প্রত্যেক পাঠের পরপরই একটি মূল্যায়ন নির্দেশক প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষক পাঠচলাকালীন বা পাঠের শেষে নির্দেশক অনুযায়ী শিক্ষার্থীকে শিখন মূল্যায়ন করবেন।
  • শিক্ষক শিখন-শেখানো কাজ পরিচালনার সময় শিক্ষার্থীর ধারাবাহিক মূল্যায়ন করবেন।
  • পাঠ চলাকালেই শিক্ষার্থীর শিখন দুর্বলতা চিহ্নিত করে নিরাময়মূলক ব্যবস্থা নেবেন।
  • শ্রেণিকাজ শেষে শিক্ষকের সুবিধাজনক সময়ে শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন ফলাফল রেকর্ডে সংরক্ষণ করবেন।
  • একই পিরিয়ডে সকল শিক্ষার্থীর ফলাফল রেকর্ড করতে হবে না, তবে এক মাসে সকল শিক্ষার্থী যেন আবশ্যিকভাবে এ মূল্যায়নের আওতায় আসে তার ব্যবস্থা শিক্ষককে করতে হবে।
  • যোগ্যতা মূল্যায়নের মূল উদ্দেশ্য। সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর উন্নয়নে সার্বিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
  • বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের সময় শিক্ষার্থীর বিশেষ চাহিদার আলোকে ভাষাদক্ষতাগুলো অর্জনে সহায়তা করবেন।

দ্বিতীয় শ্রেণি - ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষক সহায়িকা

ক্র. শিক্ষক সহায়িকা বিষয়ের নাম পড়ুন পিডিএফ
০১ বাংলা
০২ ইংরেজি (English)
০৩ প্রাথমিক গণিত
০৪ পরিবেশ পরিচিতি, সমাজ ও বিজ্ঞান
০৫ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা
০৬ শিল্পকলা
০৭ ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
০৮ হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা
০৯ খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা
১০ বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.
A+
A-