আযিযুত তালিবীন বা পাঞ্জেগাঞ্জ বই (ফার্সি - বাংলা পিডিএফ) | Azizut Talibin or Panjeganj Book (Persian - Bengali Pdf)

আযিযুত তালিবীন বা পাঞ্জেগাঞ্জ বই (ফার্সি - বাংলা পিডিএফ), Azizut Talibin or Panjeganj Book (Persian - Bengali Pdf)
Join Telegram for More Books
আযিযুত তালিবীন বা পাঞ্জেগাঞ্জ বই (ফার্সি - বাংলা পিডিএফ) | Azizut Talibin or Panjeganj Book (Persian - Bengali Pdf)

আযীযুত্ব ত্বালিবীন বা পাঞ্জেগাঞ্জ

আযীযুত্ব ত্বালিবীন বা পাঞ্জেগাঞ্জ বই (ফার্সি - বাংলা পিডিএফ) | Azizut Talibin or Panjeganj Book (Persian - Bengali Pdf)

ওস্তাদগণের খেদমতে বিনীত আবেদন:

আল-হামদুলিল্লাহ মাতৃভাষার মাধ্যমে দীনি ইলম শিক্ষার চর্চা এখন আলিয়া ও কওমী এ উভয় ধারার মাদ্রাসায় ব্যাপকভাবে সমাদৃত। আর তাতে নব-সংযোজন হিসেবে এ 'আযীযুত্ব ত্বালিবীন বা পাঞ্জেগাঞ্জ নামক আরবী সরফের কিতাবটি যোগ করতে পেরে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আশা করি, নিম্নবর্ণিত বৈশিষ্ট্যাবলী লক্ষ্য রেখে একে সবাই গ্রহণ করে নেবেন।

বৈশিষ্ট্যাবলী:
  1. সরফের সবগুলো বহছ প্রাক আকারে লেখা হয়েছে, যেন ছাত্রদের তা আয়ত্তে আনা সহজ হয়।
  2. পাঞ্জেগাঞ্জের নিছক অনুবাদ না করে তাতে ছাত্রদের অধিক উপকারের ইচ্ছায় প্রয়োজনীয় সংযোজন ঘটানো হয়েছে।
  3. ছাত্রদের জন্য সরফের জটিল বিষয়গুলো সহজ হওয়ার লক্ষ্যে স্থানে স্থানে মূল গ্রন্থের ধারায় কিছু কিছু ব্যতিক্রম ঘটানো হয়েছে। যেমন, কায়দা-কানুনসমূহ পূর্বে উল্লেখ করে এরপর সীগাহসমূহ বর্ণনা করা হয়েছে।
  4. ছাত্রদের বয়স ও আরবী ব্যাকরণের জটিলতা এ উভয় দিক লক্ষ্য করে যথাসম্ভব সহজ-সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় সকল আলোচনা লেখা হয়েছে।
  5. প্রতিটি বাক্যে সহজ ও শুদ্ধ বাংলা ব্যবহার করা হয়েছে, যেন বাংলা ভাষার ব্যবহারে কোন দুর্বলতা না থাকে।

মূলত ছাত্রসমাজের খেদমত করার লক্ষ্যে লিখিত এ গ্রন্থ আশা করি, সবার নিকট আযীযুন্ নুহাত -এর ন্যায় ব্যাপকভাবে সমাদৃত হবে।

পাঞ্জেগাঞ্জ গ্রন্থকারের সংক্ষিপ্ত জীবনী:

ফারসী ভাষায় লিখিত পাঞ্জেগাঞ্জ কিতাবটির লেখক কে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। লেখক নিজেকে গোপন রেখে দীনের খেদমত করার মানসে নিজের নাম কোথাও উল্লেখ করেননি। তবে কেউ কেউ অনুমান করেছেন যে, তিনি 'মীযানুসরফ' কিতাবেরও লেখক। অনুমান সঠিক হলে লেখকের নাম মুহাম্মদ ইবনে মুস্তফা ইবনে হাসান। তাঁর জন্ম তারিখ ও জন্মস্থান সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। তবে এতটুকু জানা যায় যে, তিনি ৯১১ হিজরী সনে ইন্তেকাল করেন। আল্লাহ তা'আলা তাঁর এই নীরব খেদমতকে কবুল করেছেন। এ উপমহাদেশের প্রত্যেকটি মাদ্রাসার প্রতিটি আরবী শিক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রী তাঁর এ অমূল্য কিতাব হতে জ্ঞান অর্জন করছে।
মোগল আমলে ফারসী রাজভাষা হওয়ার কারণে ফারসীতে রচিত এ সকল কিতাবাদি এ উপমহাদেশে প্রচলিত হয়। পরবর্তীতে উর্দু ভাষার প্রচলন হলে মাওলানা আযীযুল্লাহ গোরী এ কিতাবটি উর্দু ভাষায় রূপান্তরিত করেন এবং ইহার নাম রাখেন عَزِيزُ الطَّالِبِينَ (আযীযুত্ব ত্বালেবীন)।



WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now