Table of Contents
নামায আদায় করিতে হইলে কতকগুলি নিয়ম অবশ্যই পালন করিতে
হইবে। নামাজের বাহিরে আটটি নিয়ম। ইহাকে নামাজের
শর্ত বলে এবং নামাজের ভিতরে ছয়টি ফরয ইহাকে রোকন বলে
।
নামাযের শর্তসমূহ
নামাজ আরম্ভ করিবার পূর্বে যে সমস্ত কাজ অবশ্য কর্তব্য,
তাহাকে নামাযের শর্ত বলে ইহা আটটি; যথা :-
১) শরীর পাক-পবিত্র করিয়া লওয়া,
অর্থাৎ অযু কিংবা গোসলের প্রয়োজন হইলে
তাহা আদায় করিয়া লইতে হইবে।
২) পোষাক পাক হওয়া যদি
কাপড়ে কোন নাপাক বস্তু নাগিয়া থাকে তাহা ধুইয়া পাক করিয়া লইবে অথবা উহা পরিবর্তন
করিয়া পাক-পবিত্র কাপড় পরিধান করিয়া লইতে হইবে ।
৩) স্থান পাক হওয়া -অর্থাৎ যে স্থানে
দাঁড়াইয়া নামায পড়িবে, তাহা পাবিত্র হওয়া ।
৪) ছতর ঢাকিয়া লওয়া – অর্থাৎ নামায
পড়িবার সময়ে পুরুষের নাভী হইতে ও স্ত্রীলোক হইলে মুখ,
হাতের কব্জা ও পায়ের তলা ব্যতীত সমুদয়
শরীর ঢাকিয়া লওয়া কিন্তু বাদী হইলে পেট, পিঠ, পার্শ্ব ও নাভী হইতে জানুর নীচ পযন্ত
কাপড় দ্বারা ঢাকিয়া লওয়া ফরয ।
৫) কাবা শরীফের দিক মুখ করিয়া দাঁড়ান ।
৬) নির্দিষ্ট ওয়াক্তে নামাজ আদায় করা নিয়ত করা-যে ওয়াক্তের নামায পড়িবে,
তাহার নিয়ত করা ।
৭) তাকবীরে তাহরীমা বলা অর্থৎ নামাজের নিয়ত করিয়া “আল্লাহু আকবার” বলিয়া নামাজ আরম্ভ করা।
নামাযের রোকনসমূহ
নামায আরম্ভ করিবার পর হতে যে সকল কাজ করা ফরয,
তাহাকে নামাযের রোকন বলে। ইহা মাত্র ছয়টি; যথা:-
১) দাঁড়াইয়া নামায আদায় করা ।
২) নামাযের মধ্যে কোরান পাকের কিছু আয়াত
পাঠ করা ।
৩) রুকু করা ।
৪) সিজদা করা ।
৫) শেষবারে তাশাহুদ পাঠ করা ।
৬) ইচ্ছা পর্বক কোন কাজ করিয়া নামায ভঙ্গ
করিয়া লওয়া ।
সালামের সহিত নামায ভঙ্গ করা সুন্নত। নামায আদায় করিতে গিয়া উপরোক্ত ১৪টি ফরযের কোন একেটি ভুলেও ছাড়িয়া দিলে নামায
শুদ্ধ হবে না; নামায পুণরায় পড়িতে হইবে ।
নামাযের
ওয়াজিবসমূহ
নামাযের মধ্যে যে সকল ওয়াজিব আছে,
ইহা থেকে কোন একটিও ভুল বশতঃ ছাড়িয়া দিলে
শেষ বৈঠকে ছিজদায়ে সাহু দিতে হবে।
১) প্রত্যেক রাকাতে প্রথম সূরাহ ফাতিহা
পাঠ করা।
২) সূরাহ্ ফাতিহার পর অন্য একটি সূরাহ
মিলাইয়া পড়া (বড় এক আয়াত বা ছোট তিনি আয়াত)
৩) পরপর নামাযের রোকন গুলি সম্পন্ন করা
অর্থাৎ প্রত্যেক রুকু সিজদা করা এবং তার-তিবের প্রতি লক্ষ্য রাখা।
৪) প্রথম বৈঠক।
৫) আত্তাহিয়্যাতু পড়া।
৬) নামাযান্তে ছালাম ফিরান।
৭) দুই ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর
বলা।
৮) ফরয নামাযের প্রথম দুই রাকআতে,
ছুন্নত ও নফল নামাযে সকল রাকআআতে সূরা
ফাতিহার সহিত অন্য একটি সূরা পড়া।
৯) নামাযের রোকনগুলি আস্তে আস্তে আদায়
করা।
১০) যে নামায উচ্চঃস্বরে পড়িতে হয়,
তাহা উচ্চঃস্বরে পড়া এবং যাহা আস্তে
আস্তে পড়িতে হয় তাহা আস্তে আস্তে পড়া।