المقالة :العلم
أَوْ- فَضِيْلَةُ الْعِلْمِ / طَلَبُ الْعِلْمِ / الْعِلْمُ نُور
الْمُقَدِّمَةُ : الْعِلْمُ أَمْرٌ مُهِمْ فِي حَيَاةِ النَّاسِ وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ تَعَالَى فَرَضَ طَلَبَ الْعِلْمِ عَلى كُلِّ مُسْلِمٍ - دَل عَلَيْهِ قَوْلُ النَّبِيِّ عَلَيْهِ السَّلَامُ : طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيْضَةُ عَلى كُلِّ مُسْلِمٍ وَلَهُ فَضْلٌ عَظِيمٌ وَرُتْبَةٌ عَالِيَةٌ. وَبِهِ يَعْرِفُ النَّاسُ رَبَّهُ الْحَقِيقِي .
تَعْرِيفُ الْعِلْمِ : الْعِلْمُ فِى اللُّغَةِ : الْإِدْرَاكَ وَالْمَعْرِفَةُ وَالْفَهْمُ. وَفِي الْاصْطِلاح : هُوَ نُورُ يَقْذِفُهُ اللهُ فِي قَلْبِ مَنْ يُحِبُّهُ وَيَعْرِفُ بِهِ حَقَائِقَ الْأَشْيَاءِ .
أَقْسَامُ الْعِلْمِ : يَنْقَسِمُ الْعِلْمُ إِلى قِسْمَيْنِ رَئِيسَيْنِ :
(۱) عِلْمُ الدِّينِ : وَهُوَ الْعِلْمُ الَّذِي يَشْتَمِلُ عَلَى عُلُومِ الْقُرْآنِ وَالْحَدِيثِ وَالْفِقْهِ وَالْعَقَائِدِ والتوحيد والعلوم المُسَاعَدَةِ لِم الْقُرْآنِ وَالحَدِيثِ كَالنُّحْوِ والصَّرْفِ وَالْبَلَاغَةِ وَغَيْرِهَا.
(۲) عِلْمُ الدُّنْيَا : هُوَ الْعِلْمُ الَّذِي يَتَعَلَّقُ بِأُمُورِ الدُّنْيَا مَثَلًا : عِلْمُ الطَّبُ وَالْهَنْدَسَةِ وَالْجُغْرَافِيَةِ وَالْحِسَابِ وَغَيْرِ ذَلِكَ.
أهمية العلم : لِلْعِلْمِ أَهَمِّيّة بَالِغَةٌ فِي الْحَيَاةِ الْبَشَرِيَّةِ وَهُوَ ذَرِيعَة الهِدَايَةِ وَبِهِ يَعْرِفُ النَّاسُ الْخَيْرَ وَالشَّرُ وَالْحَقِّ وَالْبَاطِلَ وَهُوَ نِعْمَةٌ عُظمى وَثَرْوَةً غَالِيَة . إنَّهُ يُهَذبُ الأخلاق وَيَرْفَعُ الشأنَ، وَهُوَ سَبِيل النَّهْضَةِ لِكُلِّ أُمَّةٍ وَوَسِيْلَةُ التَّقَدِّم لِكُلِّ فَرْدٍ وَمُجْتَمَع .
فَضِيْلَةُ الْعِلْمِ : لِلْعِلْمِ فَضَائِلُ كَثِيْرَةُ . أَنْزَلَ اللَّهُ كَثِيْرًا مِنَ الْآيَاتِ فِي فَضِيْلَةِ الْعِلْمِ قَالَ اللهُ تَعَالَى : "اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ....... عَلَمَ الْإِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ وَأَيْضًا قَالَ : "يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوْا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَت" وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا سَهْلَ اللهُ بِهِ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ". وَقَالَ فِي فَضِيْلَةِ الْعَالِمِ : فَضْلُ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ كَفَضْلِ الْقَمَرِ عَلَى سَائِرِ الْكَوَاكِبِ. وَقَالَ اللهُ تَعَالَى : "هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ".
حُكْمُ طَلَبِ الْعِلْمِ : طَلَبُ عِلْمٍ مَبَادِئِ الدِّيْنِ فَرْضَ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيْضَةً عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ". وَطَلَبُ عِلْمِ الدُّنْيَا وَالتَّعَمقُ فِيهِ مُبَاحٌ وَفَرْضٌ عَلَى الْكِفَايَةِ .
وَاجِبُنَا نَحْوَ الْعِلْمِ : وَاجِبُنَا أَنْ نَتَعَلَّمَ وَنُعَلِّمَ قِسْمَى الْعِلْمِ رِضا لِلَّهِ تَعَالَى وَنُحَصِّلَ بِهِ حَيَاتَنَا الرَّفِيعَةَ وَنَرْفَعَ بِلَادَنَا.
الْخَاتِمَةُ : الْعِلْمُ النَّافِعُ سَبَبُ لِلْفَوْزِ وَالْفَلَاحِ لِصَاحِبِهِ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ فَعَلَيْنَا أَنْ نَتَعَلَّمَ الْعُلُوْمَ الدِّينِيَّة وَالدُّنْيَوِيَّةَ كِلَيْهِمَا.
আরবি প্রবন্ধ/রচনা: ইলম (জ্ঞান)
জ্ঞানের ফযিলত / জ্ঞান অন্বেষণকারী / জ্ঞানই নূর
উপস্থাপনা : মানবজীবনে ইলম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুসলিমের ওপর ইলম অন্বেষণকে ফরয করেছেন। এ কথার প্রমাণ রাসূল (স)-এর বাণী- “প্রত্যেক মুসলিমের ওপর ইলম অন্বেষণ করা ফরয”। এটির বিরাট শ্রেষ্ঠত্ব ও মহান মর্যাদা রয়েছে। এটির দ্বারা মানুষ তার প্রকৃত প্রভুকে চিনতে পারে।
علم - এর সংজ্ঞা : علم - এর আভিধানিক অর্থ- উপলব্ধি করা, জানা ও বুঝা। পরিভাষায় এটি এমন নূর, যা আল্লাহ সে ব্যক্তির অন্তরে ঢেলে দেন যাকে তিনি ভালোবাসেন। আর সে এটি দ্বারা বস্তুর রহস্য জানতে পারে।
ইলমের প্রকারসমূহ : ইলম প্রধানত দু'প্রকার-
১. দ্বীনি ইলম : এটি সে ইলম, যা কুরআন, হাদীস, ফিকহ, আকাইদ, গওহীদ এবং কুরআন হাদীস বুঝতে সহায়ক জ্ঞানসমূহ তথা নাহু, সরফ, বালাগতি ইত্যাদিকে অন্তর্ভুক্ত করে।
২. পার্থিব ইলম : এটি পার্থিব বিষয় সম্পর্কিত ইলম। যেমন- চিকিৎসা, প্রকৌশল, ভূগোল, অংক ইত্যাদির ইলম।
ইলমের গুরুত্ব : মানবজীবনে ইলমের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। এটি হেদায়াতের মাধ্যম। মানুষ এটি দ্বারা ভালো-খারাপ ও সত্য-মিথ্যা জানতে পারে। এটি একটি বিরাট নেয়ামত ও মূল্যবান সম্পদ। এটি চরিত্র পরিমার্জিত করে ও মর্যাদা সমুন্নত করে। এটি প্রত্যেক জাতির উন্নতির উপায় এবং ব্যক্তি ও সমাজের অগ্রগতির মাধ্যম।
ইলমের ফযিলত : ইলমের অনেক ফযিলত রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ইলমের ফযীলত সম্পর্কে অনেক আয়াত নাযিল করেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন— “তোমার রবের নামে পড়, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন যা সে জানে না”। তিনি আরও ইরশাদ করেন- “আল্লাহ তোমাদের মাঝে যারা মুমিন এবং যাদেরকে ইলম দান করা হয়েছে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন”। নবী কারীম (স) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি ইলম অন্বেষণের আশায় পথ চলবে, আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দিবেন”। তিনি আলেমের ফযিলত সম্পর্কে ইরশাদ করেন- “ইবাদতকারীর ওপর আলেমের শ্রেষ্ঠত্ব ঐরূপ যেমন সকল তারকার ওপর চাঁদের শ্রেষ্ঠত্ব”। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- “যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান”?
ইলম অন্বেষণের বিধান : দ্বীনের মৌলিক বিষয়ে ইলম অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলিমের ওপর ফরয। নবী কারীম (স) ইরশাদ করেন- “ইলম অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরয”। আর পার্থিব ইলম অন্বেষণ করা ও তাতে গভীরতা অর্জন করা মোবাহ ও ফরযে কেফায়া।
ইলমের প্রতি আমাদের কর্তব্য : আমাদের কর্তব্য হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম শিক্ষা করা এবং উভয় প্রকার জ্ঞান সম্পর্কে জানা। এটি দ্বারা আমরা উন্নত জীবন লাভ করব এবং আমাদের দেশকে উন্নত করব।
উপসংহার : উপকারী ইলম ব্যক্তির ইহকাল ও পরকালে সফলতার কারণ। কাজেই আমাদের উচিত দ্বীনি ও দুনিয়াবী উভয় ইলমই শিক্ষা করা।
WhatsApp Channel
Join Now
Telegram Group
Join Now