Table of Contents
প্রশ্ন: স্ত্রীর নিকট স্বামীর মর্যাদা কতটুকু এবং স্বামীর নিকট স্ত্রীর মর্যাদা কতটুকু? ক্বোরআন-সুন্নাহর আলোকে জানালে উপকৃত হবো।
উত্তর: স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে সুশৃঙ্খলা ও সুব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে ইসলাম। এখানে সোহার্দ্য, আনুগত্য, শৃঙ্খলা ও একে অপরকে সম্মান করার মনোভাব সৃষ্টি না হলে সংসার জীবন কখনো সুখী ও শান্তিময় হয় না। তাই সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের হক/অধিকার ও মর্যাদা সুনির্দিষ্ট রয়েছে ইসলামে। অবশ্য ইসলাম পুরুষ জাতিকে নারীর উপর কর্তৃত্ব ও নেতৃত্ব দিয়েছে। মহান আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেন-
الرجال قوامون على النساء بما فضل الله بعضهم على بعض-
অর্থাৎ পুরুষ নারীদের উপর কর্তা এজন্য যে, আল্লাহ্ তা‘আলা তাদের মধ্যে একজনকে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্বদান করেছেন। [সূরা নিসা: আয়াত-৩৪] তবে সংসারের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী মিলে-মিশে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সংসার পরিচালনা করবে এবং নারী/স্ত্রী সহযোগী হয়ে কাজ করবে। আল্লাহ্ পাক পবিত্র ক্বোরআনে ইরশাদ করেন-
ولِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌ- (القرأن)
অর্থাৎ নারীর উপরে পুরুষের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে।
[আল্ ক্বোরআন] এটা আল্লাহ্ তা‘আলার বিধান এবং তা কোন অপ্রাকৃতিক নিয়মও নয়। পৃথিবীর সর্বত্র একের অধীনে অন্যজন। তাই ইসলামী শরিয়ত নারীকে পুরুষের অনুগত হয়ে সংসার চালনার নির্দেশ দিয়েছে। নেতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা যেমন ক্বোরআন-সুন্নাহ্ ও বিবেক সম্মত।
উল্লেখ্য, স্বামীর হক্ব আদায় করা যেভাবে স্ত্রীর উপর ফরজ। স্ত্রীর হক্ব আদায় করাও স্বামীর উপর অপরিহার্য। স্বামীর মর্যাদা সম্পর্কে প্রিয়নবী হুযূর পুরনূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যদি আমি কোন বান্দাকে অন্য বান্দার উদ্দেশ্যে সাজদা করার আদেশ দিতাম তবে আমি নারীগণকে স্বামীর প্রতি সাজদা করতে হুকুম দিতাম। যেহেতু আল্লাহ্ তা‘আলা নারীদের জন্য স্বামীর অসাধারণ হক্ব নির্ধারণ করেছেন।
অপর একটি হাদীসে পাকে বর্ণিত রয়েছে, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন এক যুবতী নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে এসে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! স্ত্রীর উপরে স্বামীর হক্ব কতটুকু? নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, ‘যদি স্বামীর আপাদ-মস্তক মাথা হতে পা পর্যন্ত ক্ষতে ভরা থাকে আর স্ত্রী স্বীয় জিহ্বা দ্বারা তা চেটে দেয় তবুও স্বামীর ইহসানের শুকরিয়া আদায় হবে না।
[মাজালিছুল আবরার] অন্য এক হাদীসে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
اَيُّمَا اِمْرَأةٍ مَاتَتْ وزَوْجُهَا عَنْهَا رَاضٍ دَخَلَتِ الْجنة- (رواه الترمذى)
অর্থাৎ যে নারী তার স্বামীকে সন্তুষ্ট রেখে ইন্তেকাল করেছে, সে বেহেশতে প্রবেশ করেছে। [তিরমিযী শরীফ] তাই স্ত্রীর উচিত আপন স্বামীর যথা সম্ভব সেবা-যত্ন নেয়া। ইসলামে পুরুষ/স্বামীকে স্ত্রীর উপর নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব দিয়েছেন- এর অর্থ এ নয় যে, একজন স্বামী তার স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করবে। ইসলাম নারী তথা স্ত্রীকে তার প্রাপ্য হক/ মর্যাদা প্রদান করেছে, যেমন স্বামী তার স্ত্রীর পাঁচটি হক্ব/অধিকার আদায় করতে বাধ্য। তাহলো- মহর, খোরাকী-পোশাক, বাসস্থান ও জৈবিক অধিকার। স্বামীর উপর এসব মৌলিক অধিকার প্রদান করে স্ত্রী তথা নারী জাতিকে ইসলাম সম্মানিত করেছে।
স্বামীর উপর স্ত্রীর কতটুকু হক্ব/মর্যাদা রয়েছে এ ব্যাপারে হাদীসে পাকে প্রিয়নী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- হযরত হাকিম ইবনে মুআবিয়া কুশাইরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন- তিনি বলেন, এক সাহাবী স্বামীর নিকট স্ত্রীর হক্ব/মর্যাদা বা অধিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন- হে আল্লাহ্র রাসূল স্বামীর উপর স্ত্রীর কি পরিমাণ হক রয়েছে? প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তুমি খোরাক-পোশাক তথা ভরণ পোষণ দেবে, তার মুখমণ্ডলে প্রহার করবে না, তার চালচলনকে বক্রদৃষ্টিতে দেখবে না, এবং ঘর ছাড়া অন্য কোথাও তাকে ফেলে রাখবে না।’’ [আবু দাঊদ শরীফ] তাছাড়া ক্বোরআন মজীদে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও আন্তরিকতা প্রদর্শনের নির্দেশ রয়েছে। আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেন- وعاشروهُنَّ بالمعروف অর্থাৎ তোমরা তোমাদের স্ত্রীগণের সঙ্গে সদ্ভাবে জীবন যাপন কর।
[আল্ ক্বোরআন: সূরা নিসা, আয়াত- ১৯] আল্লাহ্ তা‘আলা আরো ইরশাদ করেন- ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে উত্তমরূপে স্বীয় ঘরে রাখ অথবা যদি তাদেরকে রাখা সম্ভবপর না হয় তবে ভদ্রতা ও সদয়ভাবে বিদায় করে দাও এবং তাদেরকে ক্ষতি সাধনের জন্য আটকে রাখবে না। (অর্থাৎ তাদের প্রতি জুলুম অত্যচার করার জন্য তাদেরকে কষ্ট দিয়ে রাখবে না)। আর যারা এরূপ করে তারা নিজ আত্মার প্রতি জুলুম করল অর্থাৎ নিজেকে আল্লাহর আযাবের জন্য উপযোগী করে নিল। [সূরা বাক্বারা, আয়াত- ২৩১] যে স্বামী স্ত্রীর নিকট ভালো সে স্বামীই প্রকৃত অর্থে ভাল ও উত্তম। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اَكمَلُ الْمُؤمنين ايمانًا اَحْسنُهُمْ خُلْقًا وخِيَارُكُمْ خِيَارُكُمْ لنسائهم-(رواه الترمذى)
অর্থাৎ ঈমানের দিক দিয়ে পরিপূর্ণ মু‘মিন ব্যক্তি যার চরিত্র সুন্দর, তোমাদের মধ্যে ওরা সর্বোত্তম যারা তাদের স্ত্রীগণের নিকট উত্তম। [তিরমিযী শরীফ] উল্লেখ্য, স্বামী কর্তৃক স্ত্রীদের প্রতি জুলুম করা, কষ্ট দেযা, নির্যাতন করা, ভরণ-পোষণের হক্ব আদায় না করা, অহেতুক গালাগালি করা সম্পূর্ণ হারাম। এমতাবস্থায় স্ত্রী তার স্বামীকে ক্ষমা/মাফ না করলে আল্লাহ-রাসূলের দরবারেও স্বামী মাফ পাবে না।
উত্তর: স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে সুশৃঙ্খলা ও সুব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে ইসলাম। এখানে সোহার্দ্য, আনুগত্য, শৃঙ্খলা ও একে অপরকে সম্মান করার মনোভাব সৃষ্টি না হলে সংসার জীবন কখনো সুখী ও শান্তিময় হয় না। তাই সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের হক/অধিকার ও মর্যাদা সুনির্দিষ্ট রয়েছে ইসলামে। অবশ্য ইসলাম পুরুষ জাতিকে নারীর উপর কর্তৃত্ব ও নেতৃত্ব দিয়েছে। মহান আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেন-
الرجال قوامون على النساء بما فضل الله بعضهم على بعض-
অর্থাৎ পুরুষ নারীদের উপর কর্তা এজন্য যে, আল্লাহ্ তা‘আলা তাদের মধ্যে একজনকে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্বদান করেছেন। [সূরা নিসা: আয়াত-৩৪] তবে সংসারের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী মিলে-মিশে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সংসার পরিচালনা করবে এবং নারী/স্ত্রী সহযোগী হয়ে কাজ করবে। আল্লাহ্ পাক পবিত্র ক্বোরআনে ইরশাদ করেন-
ولِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌ- (القرأن)
অর্থাৎ নারীর উপরে পুরুষের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে।
[আল্ ক্বোরআন] এটা আল্লাহ্ তা‘আলার বিধান এবং তা কোন অপ্রাকৃতিক নিয়মও নয়। পৃথিবীর সর্বত্র একের অধীনে অন্যজন। তাই ইসলামী শরিয়ত নারীকে পুরুষের অনুগত হয়ে সংসার চালনার নির্দেশ দিয়েছে। নেতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা যেমন ক্বোরআন-সুন্নাহ্ ও বিবেক সম্মত।
উল্লেখ্য, স্বামীর হক্ব আদায় করা যেভাবে স্ত্রীর উপর ফরজ। স্ত্রীর হক্ব আদায় করাও স্বামীর উপর অপরিহার্য। স্বামীর মর্যাদা সম্পর্কে প্রিয়নবী হুযূর পুরনূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যদি আমি কোন বান্দাকে অন্য বান্দার উদ্দেশ্যে সাজদা করার আদেশ দিতাম তবে আমি নারীগণকে স্বামীর প্রতি সাজদা করতে হুকুম দিতাম। যেহেতু আল্লাহ্ তা‘আলা নারীদের জন্য স্বামীর অসাধারণ হক্ব নির্ধারণ করেছেন।
অপর একটি হাদীসে পাকে বর্ণিত রয়েছে, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন এক যুবতী নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে এসে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! স্ত্রীর উপরে স্বামীর হক্ব কতটুকু? নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, ‘যদি স্বামীর আপাদ-মস্তক মাথা হতে পা পর্যন্ত ক্ষতে ভরা থাকে আর স্ত্রী স্বীয় জিহ্বা দ্বারা তা চেটে দেয় তবুও স্বামীর ইহসানের শুকরিয়া আদায় হবে না।
[মাজালিছুল আবরার] অন্য এক হাদীসে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
اَيُّمَا اِمْرَأةٍ مَاتَتْ وزَوْجُهَا عَنْهَا رَاضٍ دَخَلَتِ الْجنة- (رواه الترمذى)
অর্থাৎ যে নারী তার স্বামীকে সন্তুষ্ট রেখে ইন্তেকাল করেছে, সে বেহেশতে প্রবেশ করেছে। [তিরমিযী শরীফ] তাই স্ত্রীর উচিত আপন স্বামীর যথা সম্ভব সেবা-যত্ন নেয়া। ইসলামে পুরুষ/স্বামীকে স্ত্রীর উপর নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব দিয়েছেন- এর অর্থ এ নয় যে, একজন স্বামী তার স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করবে। ইসলাম নারী তথা স্ত্রীকে তার প্রাপ্য হক/ মর্যাদা প্রদান করেছে, যেমন স্বামী তার স্ত্রীর পাঁচটি হক্ব/অধিকার আদায় করতে বাধ্য। তাহলো- মহর, খোরাকী-পোশাক, বাসস্থান ও জৈবিক অধিকার। স্বামীর উপর এসব মৌলিক অধিকার প্রদান করে স্ত্রী তথা নারী জাতিকে ইসলাম সম্মানিত করেছে।
স্বামীর উপর স্ত্রীর কতটুকু হক্ব/মর্যাদা রয়েছে এ ব্যাপারে হাদীসে পাকে প্রিয়নী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- হযরত হাকিম ইবনে মুআবিয়া কুশাইরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন- তিনি বলেন, এক সাহাবী স্বামীর নিকট স্ত্রীর হক্ব/মর্যাদা বা অধিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন- হে আল্লাহ্র রাসূল স্বামীর উপর স্ত্রীর কি পরিমাণ হক রয়েছে? প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তুমি খোরাক-পোশাক তথা ভরণ পোষণ দেবে, তার মুখমণ্ডলে প্রহার করবে না, তার চালচলনকে বক্রদৃষ্টিতে দেখবে না, এবং ঘর ছাড়া অন্য কোথাও তাকে ফেলে রাখবে না।’’ [আবু দাঊদ শরীফ] তাছাড়া ক্বোরআন মজীদে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও আন্তরিকতা প্রদর্শনের নির্দেশ রয়েছে। আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেন- وعاشروهُنَّ بالمعروف অর্থাৎ তোমরা তোমাদের স্ত্রীগণের সঙ্গে সদ্ভাবে জীবন যাপন কর।
[আল্ ক্বোরআন: সূরা নিসা, আয়াত- ১৯] আল্লাহ্ তা‘আলা আরো ইরশাদ করেন- ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে উত্তমরূপে স্বীয় ঘরে রাখ অথবা যদি তাদেরকে রাখা সম্ভবপর না হয় তবে ভদ্রতা ও সদয়ভাবে বিদায় করে দাও এবং তাদেরকে ক্ষতি সাধনের জন্য আটকে রাখবে না। (অর্থাৎ তাদের প্রতি জুলুম অত্যচার করার জন্য তাদেরকে কষ্ট দিয়ে রাখবে না)। আর যারা এরূপ করে তারা নিজ আত্মার প্রতি জুলুম করল অর্থাৎ নিজেকে আল্লাহর আযাবের জন্য উপযোগী করে নিল। [সূরা বাক্বারা, আয়াত- ২৩১] যে স্বামী স্ত্রীর নিকট ভালো সে স্বামীই প্রকৃত অর্থে ভাল ও উত্তম। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اَكمَلُ الْمُؤمنين ايمانًا اَحْسنُهُمْ خُلْقًا وخِيَارُكُمْ خِيَارُكُمْ لنسائهم-(رواه الترمذى)
অর্থাৎ ঈমানের দিক দিয়ে পরিপূর্ণ মু‘মিন ব্যক্তি যার চরিত্র সুন্দর, তোমাদের মধ্যে ওরা সর্বোত্তম যারা তাদের স্ত্রীগণের নিকট উত্তম। [তিরমিযী শরীফ] উল্লেখ্য, স্বামী কর্তৃক স্ত্রীদের প্রতি জুলুম করা, কষ্ট দেযা, নির্যাতন করা, ভরণ-পোষণের হক্ব আদায় না করা, অহেতুক গালাগালি করা সম্পূর্ণ হারাম। এমতাবস্থায় স্ত্রী তার স্বামীকে ক্ষমা/মাফ না করলে আল্লাহ-রাসূলের দরবারেও স্বামী মাফ পাবে না।